আজকে আমরা বিশেষ দুই বন্ধুর মাধ্যমে জানতে চলেছি যে জীবনে উন্নতি করতে গেলে কি করা দরকার,

আজকে আমরা বিশেষ দুই বন্ধুর মাধ্যমে জানতে চলেছি যে জীবনে উন্নতি করতে গেলে কি করা দরকার,



যাইহোক এটি একটি গল্প তাই কেউ বাস্তবের সাথে মেলাবেন না,

আজ দুপুরে আপনাদের সাথে আমি আছি ~ নিতাই,



নিজেদের মধ্যে পরিচয় এর সাথে সাথে নাম করন ~ 


একটি বাড়ি তৈরি করতে ছয়জন শ্রমিক কাজ করতে এল। তার মধ্যে দুজন শ্রমিক খুব ভালো ছিল। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম রবি এবং আর একজনের নাম রামলাল। 


 প্রধান বিষয় ~

 

রবি কাঁধে করে ইট বহন করে এনে অন্য শ্রমিকদের দিতো। রামলালও মাথায় করে বালি বহন করে অন্য শ্রমিকদের দিতো। এরকম করে ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে উঠল। একদিন রবি বলল বন্ধু রামলাল তোমার বাড়ি কোথায়? রামলাল বলল, আমার মা ও বাবা নেই। এই কথাটি বলতে বলতে সে কেঁদে ফেললেন। তারপর সে চোখের জল মুছে বলল, আমি যখন ছোটো ছিলাম তখনই আমার মা ও বাবা মারা গেছে। তাই মামার বাড়িতে থাকি। তারপর রামলাল বলল বন্ধু রবি তোমার বাড়ি কোথায়? রবি বলল, আমার বাড়ি হল আহম্মদপুর। রবি বলল বন্ধু রামলাল তুমি কাল থেকে আমার বাড়িতে থাকবে। আমার বাড়িতে আমি একাই থাকি। রামলাল বলল, তা কী করে হয়। রবি বলল, কেনো হয় না?


 তুমি আমার বাড়িতে থাকবে এই আমার শেষ কথা। তারপর দিনে কাজে এসে রবি তার বন্ধু রামলালকে বলল আমার বাড়ি যাবে তো। রামলাল বলল যাব। একথা শুনে রবি খুব খুশি হল। কাজ শেষ হওয়ার পর তাঁরা দুজন বন্ধু মিলে বাড়ি ফিরলো। তারপর দিন দুজন বন্ধু মিলে মন দিয়ে কাজ করলো। তারপর কাজের শেষে বাড়ি ফিরে তারা স্নান করে খাবার খেয়ে একটি গাছের নীচে গিয়ে বসলো। 

 

দুজন বন্ধু মিলে নানা বিষয়ে গল্প করতে লাগলো। তার কিছুক্ষণ পর এক সাধুবাবা এসে বলল কী ভাবছো রবি? রবি অবাক হয়ে সাধুবাবাকে বলল, আপনি আমার নাম জানলেন কী করে? সাধুবাবা বললেন, আমি তোমার বন্ধু রামলালের নামও জানি। রবি ও তাঁর বন্ধু রামলাল সাধুবাবাকে বলল, আমরা দুজন শ্রমিক কাজ করে যা উপার্জন করি তা খেতে পরতে চলে যায়। তাহলে কী আমরা ধনী হতে পারবো না সাধুবাবা?

 সাধুবাবা বলল তোমাদের মরুভূমি যাত্রা করতে হবে। কিন্তু মরুভূমি যাত্রা তো খুবই কষ্টকর হবে,

  তাই বলছি তোমাদের দুজনকে একে অপরকে সাহায্য করতে হবে তবেই তোমরা গুপ্তধন পাবে। এই বলে সাধুবাবা চলে গেলেন। তাঁরাও বাড়ি ফিরে রাত্রির খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তারপর দিন তাঁরা ঠিক করল আজ তাঁরা মরুভূমি যাত্রা করবে। তাই রবি শ্রমিক দলের প্রধানকে ফোন করে বলে যে সে এবং রামলাল আজ থেকে কিছুদিন কাজে যাবে না। প্রধান বলল, ঠিক আছে। 

  

নিজেদের মধ্যে ঝগড়া~ 


তারপর তাঁরা অনেক খাবার এবং জল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। তারপর তাঁরা মরুভূমি যাত্রা শুরু করলো। মরুভূমি যাত্রা করতে করতে চার-পাঁচ দিন কেটে গেলো। তাঁদের খাবার এবং জল প্রায় শেষের দিকে। রামলাল যতটুকু জল ছিল সব খেয়ে নিল। এই দেখে রবি রেগে তাঁকে একটি থাপ্পর মারলো। তারপর রামলাল বালিতে লিখলো আজ রবি আমাকে মেরেছে। কিছুদূর যাওয়ার পর রামলাল দেখলো একটি সরোবরে জল রয়েছে। সে জল জল বলে ছুটে সরোবরের দিকে গেল। তারপর সে চোরা বালিতে আটকে গেল এবং রবি-রবি- বলে চিৎকার করতে লাগলো। রবি এসে তাঁকে সমস্ত শক্তি দিয়ে চোরা বালি থেকে তুললো। রামলাল পাথরের উপর আর একটি পাথর দিয়ে লিখলো আজ রবি আমার প্রাণ বাঁচিয়েছে। এই দেখে রবি বলল কী হচ্ছে রামলাল? কখনও বালিতে লিখছো তো কখনও পাথরে লিখছো। রামলাল বলল, তুমি আমাকে মেরেছো এটি বালিতে লিখলাম কারণ ঝোড়ো হাওয়া একে যেনো মিটিয়ে দেয় আর আমি যেন ভুলে যাই। তুমি আমার প্রাণ বাঁচিয়েছো। এটি পাথরে লিখলাম কারণ ঝোড়ো হাওয়া একে যেনো কখনও না মিটিয়ে দেয় ও পরে আমি যেন না ভুলি। একথা শুনে দুজন পরস্পরকে আলিঙ্গন করল। আর কিছুদূর গিয়ে তারা একটি গুহা দেখতে পেল। তাঁরা কাছে গিয়ে দেখল গুহাটির সামনে হাড়কঙ্কাল পড়ে রয়েছে। তাঁরা ভাবল যে ভিতরে নিশ্চয় ভূত বা ভয়ঙ্কর প্রাণী আছে। তাঁরা ভয়ে ভয়ে গুহার ভিতর ঢুকল। তারপর তারা দেখল একটি সোনার বড় পাত্রে সোনা-মাণিক-হীরে বোঝাই করা রয়েছে। তারা সেই সোনাগুলি নিয়ে নিল। এই দেখে তাঁরা খুব খুশি হল। তাঁরা মনে মনে ভাবছে তারা এইবার এতদিনে ধনী হতে পেরেছে। তাঁদের এই চার-পাঁচদিনের খাটনি বিফলে যায়নি। তারপর থেকে তাদের জীবন সুখে কাটে।


 নীতিকথা ~ 

 আমাদের মানুষের খারাপ কথা ভুলে যাওয়া উচিত এবং সবসময় মানুষের ভালো কথা মনে রাখা উচিত,



সর্বশেষে আমার এটাই বলা সকলে ভালো থাকবেন পরবর্তী আপডেট না আসা পর্যন্ত সুস্থ থাকবেন,

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন